Sultan in Kazi's court
অনেক আগে বাংলায় একজন রাজা ছিলেন। তাঁর নাম সুলতান গিয়াসউদ্দীন আযম। তার রাজধানী ছিল ঢাকার কাছাকাছি সোনারগাঁয়ে তিনি ছিলেন খুবই ন্যায়পরায়ন এবং দয়ালু।
তিনি শিকার করতে খুবই পছন্দ করতেন। একদিন একটা বনের পাশে তিনি তীর -ছোড়া চর্চা করছিলেন। দৈবক্রমে একটি তীর একটা ছেলেকে আঘাত করে। ছেলেটি তৎক্ষণাৎ মারা য়ায। সে ছিল এক বিধবার একমাত্র সন্তান। বিধবা গভীরভাবে শোকাহত হল। সে কাজির কাছে গিয়ে সব খুলে বলে ন্যায়বিচার চাইল।
কাজির খুব মায়া লাগল। সে কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে গেল। কারন স্বয়ং রাজা হচ্ছেন আসামী। যদি সে বিধবার পক্ষে রায় দেয় তাহলে নিশ্চয়ই রাজা অসন্তুষ্ট হবেন। আর যদি সে তা না করে তাহলে সে নিজে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবে।
কাজি এক মূহূর্ত ভাবলেন এবং সিন্ধান্ত নিলেন যে তিনি ভয়ের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। তিনি অবশ্যই ন্যায়বিচার করবেন। তাই তিনি রাজার বিরুদ্ধে সমন জারী করলেন।
কাজি এক মূহূর্ত ভাবলেন এবং সিন্ধান্ত নিলেন যে তিনি ভয়ের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। তিনি অবশ্যই ন্যায়বিচার করবেন। তাই তিনি রাজার বিরুদ্ধে সমন জারী করলেন।
নির্ধারিত সময়ে রাজা কাজির আগেই চলে আসলেন। কাজি রাজাকে কোনো রকম সম্মান দেখালেন না। তিনি রাজাকে জিজ্ঞেস করলেন বিধবা তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা কি সত্যি?
রাজা তা স্বীকার করলেন এবং বললেন তিনি ইচ্ছা করে এরুপ করেন নি। এটা ছিল একটা দূর্ঘটনা। কাজি বললেন,"আইন অনুসারে তোমাকে এর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং ছেলেটির মাকে সন্তুষ্ট করতে হবে।"
রাজা খুশি মনে তা করলেন এবং বিধবাও সন্তষ্ট হল।
তখন কাজি তাঁর আসন ছেড়ে উঠলেন এবং রাজাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করলেন। রাজা তাঁর তরবারি বের করলেন এবং বললেন," যদি আপনি বিধবার প্রতি ন্যায়বিচার না করতেন তাহলে আমি এই তরবারি দিয়ে আপনার মাথা কেটে নিতাম।"
কাজি তখন তাঁর বেত তুলে ধরে বললেন," যদি আপনি আমার আদেশ অমান্য করতেন, তাহলে আমি আমার এই বেত আপনার পিঠে ভাঙতাম।"
রাজা কাজির সাহস এবং নীতিবোধ দেখে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হলেন এবং তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন।
এই মহান কাজির নাম ছিল সাইফুদ্দিন।
রাজা কাজির সাহস এবং নীতিবোধ দেখে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হলেন এবং তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন।
এই মহান কাজির নাম ছিল সাইফুদ্দিন।
Translator: Robin
No comments:
Post a Comment