লেখক- স্বরমিষ্ঠা সেতু
চারদিকের পরিবেশটা অনেক বেশী অন্যরকম। বসে বসে ভাবছি নিজের সিনেমাটিক জীবেনের একটা কাহিনী কেন লিখছি না।বেশী না কেবল ৫ টা বছর কেটেছে এর মাঝে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। ৫ বছর আগে একটা ভুল করেছিলাম। সেই ভুলের মাসুল ও যথেষ্ট গুনেছি।
৫ বছর আগে যখন আমি ঠিক সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি তখনই ভুলটা করেছিলাম। বেস্ট ফ্রেন্ডের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম।জানি সবাই এখন ভাববে কাহিনী কি বুঝতে পারছি। সে না বলেছে তার পর আমি সব ভুলে দেওয়ানা হয়ে গিয়েছি আর তারপর তাকে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য তার থেকে কয়েকশ গুণ উপরে উঠে । না না তেমন কিছু হয় নি। হ্যা সে না করেছিল প্রথমে আমাকে, কিন্তু আমি জানি সে আমাকে পছন্দ করে। কারন আমার অপছন্দ পছন্দ কেউ যদি ঠিকঠাক মনে রাখে সেটা হচ্ছে এই মেয়েটা। আমার যা ভালোলাগা তা কেবল ওই মেয়েটাই খেয়াল রাখে। আমিও যেন কবে ওর প্রতি দুর্বল হয়ে গেলাম। আমি আবার পেটে কথা রাখতে পারি না। আর সব কথা ওকে বলে বলে অভ্যাস।
তাই এই কথাটা মনে আসতেই বলে দিলাম সাতপাঁচ না ভেবে।প্রথমে সে আমার কথা শুনে খুব হাসলো। তারপর যখন বুঝলো আমি সিরিয়াস সেও খুব সিরিয়াস মুখ করে কিছুক্ষণ বসে থেকে আবার হেসে ভেংগে পড়লো।
কোনো উত্তর না দিয়ে চলে গেলো। ওই রাত যে আমার কিভাবে কেটেছিলো আমি নিজেও জানি না।ভয়ে ফোনও দিতে পারছিলাম না। আবার না দিয়ে থাকতেও পারছিলাম না। শেষপর্যন্ত সেই ফোন দিয়েছিলো বলেছিলো এটা কোনো ভাবেই সম্ভব না। আমি পুরা রাত না ঘুমিয়ে পরদিন ক্লাসে এসেছিলাম ক্লাসে স্যার কি বলেছিলো কিছুই শুনি নি তার দিকেই তাকিয়েছিলাম।কিন্তু সে তো আমাকে পাত্তাই দেয় নি একবারো তাকায় নি আমার দিকে।ক্লাস শেষে গোমরা মুখ নিয়ে বের হয়ে আসছি কেউ একজন আমার মাথায় একটা গাট্টা মারলো তাকিয়ে দেখি শ্রুতি। (ওহহো ভুলেই গিয়েছি যে এখনো আমি ওর নাম বলি নি ওর নাম শ্রুতি)।তো যাইহোক সে আমাকে বললো চল আইসক্রিম খেয়ে আসি ওই নতুন আইসক্রিম পার্লার থেকে।আমি আর কি বলবো কিছু না বলেই ওর পিছুপিছু চললাম।
কোনো উত্তর না দিয়ে চলে গেলো। ওই রাত যে আমার কিভাবে কেটেছিলো আমি নিজেও জানি না।ভয়ে ফোনও দিতে পারছিলাম না। আবার না দিয়ে থাকতেও পারছিলাম না। শেষপর্যন্ত সেই ফোন দিয়েছিলো বলেছিলো এটা কোনো ভাবেই সম্ভব না। আমি পুরা রাত না ঘুমিয়ে পরদিন ক্লাসে এসেছিলাম ক্লাসে স্যার কি বলেছিলো কিছুই শুনি নি তার দিকেই তাকিয়েছিলাম।কিন্তু সে তো আমাকে পাত্তাই দেয় নি একবারো তাকায় নি আমার দিকে।ক্লাস শেষে গোমরা মুখ নিয়ে বের হয়ে আসছি কেউ একজন আমার মাথায় একটা গাট্টা মারলো তাকিয়ে দেখি শ্রুতি। (ওহহো ভুলেই গিয়েছি যে এখনো আমি ওর নাম বলি নি ওর নাম শ্রুতি)।তো যাইহোক সে আমাকে বললো চল আইসক্রিম খেয়ে আসি ওই নতুন আইসক্রিম পার্লার থেকে।আমি আর কি বলবো কিছু না বলেই ওর পিছুপিছু চললাম।
আমাদের সম্পর্কটা মোটামুটি স্বাভাবিক হয়ে গেলো আবার। কোনো রিলেশনশিপে গেলাম না আবার ফ্রেন্ডশিপ টাও নষ্ট হয় নি কারন কেন যেন মনে হয়েছিলো আমি যেমন ওকে ছাড়া থাকতে পারব না সেও আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। একদিন ক্লাস থেকে বের হয়ে আমরা একটু হাটাহাটি করতে গেলাম। আমরা বাইপাস ধরে হাটছিলাম নাহ কোনো কাপলের মতো না ফ্রেন্ডের মতো করেই হাটছিলাম। এবার শোনো আমি আবার একটা বড় ভুল করে বসেছিলাম। নাহ ওকে হাগও করি নি কিসও করি নি।ভুলটা করেছিলাম ওকে রাস্তার সাইডে হাটতে দিয়ে। হুট করে কোথা থেকে যেন একটা ট্রাক এসে শা করে আমার পাশ দিয়ে চলে গেল আর সাথে করে নিয়ে গেল আমার শ্রুতি কে।
তারপর আমার কি হয়েছিলো আমি জানি না। এইতো কয়েকদিন আগে আমার সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে লাস্ট সেশন ছিল। উনি বলেছেন আমি নাকি এখন স্বাভাবিক।তারপর শুনলাম ৫ বছর নাকি পার হয়ে গিয়েছে। আমি আবার জুনিয়রের সাথে ক্লাস করা শুরু করেছি।
আসলেই মনে হয় সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে তারপরেও আমি অপেক্ষা করি কেউ এসে আমার মাথায় গাট্টা দিয়ে বলবে এই ফাজিল চল আইসক্রিম খেয়ে আসি।
No comments:
Post a Comment