World Challange Of Bermuda Triangle.


Bermuda Triangle Mistry
পৃথিবীতে অনেক জিনিস সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে অনেক কিছুই আছে যা আমাদের অজানা। এর মধ্যে অন্যতম বারমুডা ট্রাইঙ্গল। যা বিশ্বের কাছে ছুঁড়ে দিয়েছে এক অজানা চ্যালেঞ্জ। পৃথিবীর অবাস্তব কল্পনাকে করে তুলেছে বাস্তব। লক্ষ লক্ষ মানুষ ছুটছে ঐ বারমুডার পেছনে। কিন্তু ধরা দেয়নি কারো হাতে। রহস্যকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে। ১৬৬৫ সালে দুঃসাহসী নাবিক জুয়ান ডি বারমুডেজ আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমপ্রান্তে, যুক্তরাষ্টের উপকূলে একটি বিশেষ সাগর সীমানায় আবিষ্কার করেন এক অদ্ভুদ এবং ভুতুরে দ্বীপ। নাবিক বারমুডেজ এর নামানুসারে রাখা হয় বারমুডা নাম। এর ভেতরে রয়েছে লক্ষ লক্ষ কোয়াল এবং প্রবাল দ্বীপ। এসব দ্বীপ ভুতুরে এবং জনমানব শূন্য বৈজ্ঞানীরা যার নাম দিয়েছেন "Island's of the Davils" অথবা শয়তানের দ্বীপপুঞ্জ। বারমুডা মানব সভ্যতার কাছে এনেছে বিরাট চ্যালেঞ্জ, যেখানে নিউটনের মধ্যাকর্ষণ শক্তি বিকল হয়ে পরে। রেডিও নিজ শক্তি হারিয়ে ফেলে, কম্পাস বনবন করে ঘুরতে থাকে, সব যন্ত্রপাতি পাগলের মত অদ্ভুদ আচরন করে। নেভিগেশনাল ইন্সট্রুমেন্ট নীল রং এর মত সাগরের মাঝে বিজলী চমকানোর মত নেচে বেড়ায়। হঠাৎ করেই প্রচন্ড ঘূর্ণিপাক খেয়ে উঠে যায় আকাশে। এটা যে আসলে কি হচ্ছে তা কেউ বলতে পারে না। সতের শতকের শুরু থেকে মানুষ বুজে যায় বারমুডা সম্পর্কে। রহস্যজনক এ দ্বীপে চিরতরে হারিয়ে গেছে বহু জাহাজ,বিমান,সাবমেরিন,মানুষ। ১৯৭৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লেখক চার্লস বার্লিভজ বারমুডা সম্পর্কে বই লেখে হৈ চৈ ফেলে দেয়। ১৯৫০ সালে হেনরি রাভেনম এবং তার সাত-সঙ্গী বারমুডার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান বিমানে করে। নিখোজ হওয়ার আগে টেলিবার্তায় জানিয়ে ছিলেন "আমরা খুব বিপদের মধ্যে আছি" এরপর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সর্বশেষ জানিয়ে ছিলেন। "ওরা দেখতে আমাদের মত"। ১৮৮২ সালে মার্কিন কমান্ডার জনসন ব্লেকালি তার যুদ্ধ জাহাজ ওয়াসপ নিয়ে বারমুডায় প্রবেশ করেন। তিনি আর ফিরে আসে'নি। ১৮৮০ সালে ব্রিটিশ ফ্রিগেট H.M.Sও আটলান্টার ১৫ জন অফিসার, ৬৫জন ক্রু এবং দু'শতাধিক ক্যাডেটকে নিয়ে ইংল্যান্ডের পোর্টস সাউথ বন্দর হতে উত্তর বার্মুডায় পোছতে গিয়ে অভিশপ্ত বারমুডা ট্রাইঙ্গলে নিখোজ হয়।  ১৬৪৫ সালে ৫ই ডিসেম্বর U.S এয়ারফোর্স নাইন টিন এর ৫টি এ্যাডভেঞ্চার বিমান মহড়ায় থাকাকালিন কর্ন্টোল টাওয়ারের সাথে সংযোগ হারিয়ে নিখোজ হয় বারমুডার আকাশ সীমানায়। যে সব বই বেরিয়েছে তার অধিকাংশে লেখা যে এটি চুম্বকের প্রভাব। চুম্বকের প্রভাব যদি থেকেই থাকে তবে অরিজেন ভোরটেক্স বা গোল্ড হিলের মত সব সময় এর প্রভাব থাকে না কেন? এর উত্তর ঐ ম্যাগনেট ফিল্ড কৃত্রিম। যদি কৃত্রিম হলে তো কাউকে না কাউকে বানাতে হবে। তাহলে কে বানায়? মানুষজন ধরে কার কি লাভ। আর যদি ম্যাগনেট-ই হয় তাহলে হেনরী রাভেনম কেন বলে ছিল ওরা দেখতে আমাদের মত? তাহলে কি কোনদিন  এই রহস্য ভেদ হবে না। কোন বিজ্ঞানী এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। এই রহস্যময় দ্বীপে গত দুশো বছরে ৫০টির বেশী জাহাজ, ২০টির বেশী বিমান চিরতরে অদৃশ্য হয়ে গেছে। এ যাবৎ এ অঞ্চলে ১০০০ এরও বেশী লোক প্রান হারিয়েছে।..............Part 02 তে বাকি অংশ থাকবে।
{সংগ্রাহকঃ রবিন}
STORYLANDBD
STORYLANDBD

This is a short biography of the post author. Maecenas nec odio et ante tincidunt tempus donec vitae sapien ut libero venenatis faucibus nullam quis ante maecenas nec odio et ante tincidunt tempus donec.

No comments:

Post a Comment