আকাশটা ছিল মেঘলা। বর্ষাকালে আকাশ মেঘলা হওয়ারই কথা। এমন সময় আকাশ বের হল কলেজ থেকে। আকাশ ছেলেটা ভদ্র, সভ্য, আর ক্লাসের র্ফাস্ট বয় ও... কখনো সে কোন মেয়ের সাথে কথা বলেনা। সবসময় পড়াশুনায় মন দেয়। সে দেখতেও খুব হ্যান্ডসাম। বর্ষা নতুন এসেছে কলেজে। আমাদের গল্পটা এই আকাশ আর বর্ষাকে নিয়েই। বর্ষা সবসময় হাসি-খুশি থাকে। সে সব কিছুতেই পটু। এককথায় অল-রাউন্ডার।
বর্ষা সেদিন কলেজের গেট দিয়ে ঢুকছিল হঠাৎ সে আকাশের সাথে ধাক্কা খায়। বর্ষা রেগে বলে এই ছেলে দেখে পথ চলতে পারো না। ইডিয়েট বলে বর্ষা চলে যায়।
কিন্তু এতক্ষনে তো আমাদের নায়ক আকাশের মনে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। মানে আকাশের বর্ষাকে কেন জানি ভালো লেগেছে। আর এই ভালোবাসার বৃষ্টিতেতো বিদ্যুৎ চমকাতেই থাকে। আকাশ যে ছেলে পড়াশুনা ছাড়া কিছু বোঝেনা সেই কিনা শুধু বর্ষার কথা ভাবছে।
পরদিন আকাশ কলেজে যায় তারপর বর্ষাকে সরি বলে কালকের ঘটনার জন্য। তারপর তারা বন্ধুত্ত করে নিজেদের মধ্যে। বর্ষা সবসময় হাসি-খুশি থাকে। আর বর্ষার হাসি দেখার জন্য আকাশ সবকিছু করতে রাজি। একদিন আকাশ বর্ষাকে প্রোপোজ করে। বর্ষা সেখান থেকে চলে যায়। আকাশ ভাবতে থাকে ওকি কোন ভুল করে বসল। কিন্তু না সত্যিকারের ভালোবাসা যে অনন্ত কালের হয়। তারপর দিন বর্ষা কলেজে আসে এসে আকাশকে বলে ভালবাসতে হলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। তুমি পারবে আমার জন্য তোমার ফ্যামিলিকে ছেড়ে আমার হাত ধরতে। তখন আকাশ বলে না আমি আমার ফ্যামিলিকে ছেড়ে তোমার হাত ধরতে পারব না। আর এই পর্যন্ত যা ঘটেছে তার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি।
পরদিন আকাশ কলেজে যায় তারপর বর্ষাকে সরি বলে কালকের ঘটনার জন্য। তারপর তারা বন্ধুত্ত করে নিজেদের মধ্যে। বর্ষা সবসময় হাসি-খুশি থাকে। আর বর্ষার হাসি দেখার জন্য আকাশ সবকিছু করতে রাজি। একদিন আকাশ বর্ষাকে প্রোপোজ করে। বর্ষা সেখান থেকে চলে যায়। আকাশ ভাবতে থাকে ওকি কোন ভুল করে বসল। কিন্তু না সত্যিকারের ভালোবাসা যে অনন্ত কালের হয়। তারপর দিন বর্ষা কলেজে আসে এসে আকাশকে বলে ভালবাসতে হলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। তুমি পারবে আমার জন্য তোমার ফ্যামিলিকে ছেড়ে আমার হাত ধরতে। তখন আকাশ বলে না আমি আমার ফ্যামিলিকে ছেড়ে তোমার হাত ধরতে পারব না। আর এই পর্যন্ত যা ঘটেছে তার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি।
এরপর থেকে আকাশ বর্ষাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করল। বেশ কয়েকদিন কেটে গেল। আকাশ ভাবছে বড্ড ভুল হয়ে গেল মেয়েটার সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনেই ভালবেসে ফেললাম। আর কি অদ্ভুদ শর্ত দিল আমায়। বাবা-মা এর চেয়ে কেউ কি আপন হতে পারে। যাই হোক এসব চিন্তা মাথা থেকে ঝাড়তে হবে। দোষ তো আমারই এসব প্রেম টেমের পাল্লায় পড়ে পড়াশুনার কপালে আগুন লাগাতে যাচ্ছিলাম।
কিন্তু ঘুমানোর আগে আকাশ আবার বর্ষার কথা ভাবতে লাগল। নাহ আমার কোথাও ভুল হচ্ছে নাতো? এতো সুন্দর একটা মেয়ে, এতো সুন্দর যার চোখ সে কি এতোটা স্বার্থপর হতে পারে? ওকি সত্যিই চায় আমাকে আমার বাবা মায়ের থেকে দূরে সরিয়ে দিতে? সব গুলিয়ে যাচ্ছে। কালকে এ ব্যাপারে আদনান এর সঙ্গে কথা বলতে হবে। আদনান আকাশের বেস্ট ফ্রেন্ড। দুজন দুজনের সব কথাই শেয়ার করে। পরদিন বিকেলে মাঠে বসে আকাশ আদনানকে সব খুলে বলল। আকাশের মুখে এসব কথা শুনে আদনান তো প্রথমে বাকহারা। কারন আকাশ আর প্রেম দুটো ব্যাপারের কম্বিন্শন আদনানের কাছে ইলেকট্রন আর ইলেকট্রন আকর্ষণ করলে যেমন হয় সেরকম।
আকাশঃ কিরে অফ হয়ে গেলি যে কিছু বল ভাই।
আদনানঃ যা শুনছি তাই তো বিশ্বাস করতে পারছি না। ভাই তোকে তো লাভপ্রুফ বলে জানতাম। তুইও শেষ পর্যন্ত কাদায় পিছলালি।
আকাশঃ দেখ যা বলছি সত্যি বলছি। আর আমি তো হিসেব করে পিথাগোরাসের সূত্র দ্বারা প্রমান করে প্রেমে পড়িনি। ওকে দেখে কি করে হয়ে বুঝতেও পারলাম না।
আদনানঃ কিন্তু বর্ষা তোকে ওসব কথা কেন বলল আমিও বুঝতে পারছি না। তবে একটা কথা শোন আপাতত তুই ওকে এড়িয়ে চল। ও যদি তোকে ভালোবেসে থাকে তাহলে ও নিজেই রি-আক্ট করবে।
আকাশঃ তুই যা বলিশ। তবে মনে হচ্ছে কাদায় ভালোভাবে আটকে গেছি সহজে বেরোতে পারব না।
আদনানঃ তা নিজের নাম কি ঠিক করলি রোমিও না এ্যন্টোনি?
আদনানঃ ইয়ার্কি মারার জায়গা পাস না!
আরো কিছু দিন আকাশ বর্ষাকে এড়িয়ে চলল। ওর সামনে অন্যদিকে তাকিয়ে হেটে যায়। তবে বর্ষাকে দেখলেই বুকের ভেতরটা ফাকা ফাকা লাগে। কিন্তু বর্ষা কোন রি-আ্যক্ট করছে না। তবে কি সে সত্যিই আকাশকে ভালোবাসে না? জীবনের প্রথম প্রেমে কি আকাশ ব্যর্থ?
কদিন ধরে আকাশের পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে। কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। একটা উপন্যাসের বই নিয়ে শুয়ে আছে। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা। ওনার লেখা এত ভাল আর মজার যে এর মধ্যেও আকাশ হালকা বোধ করছে। আসলে বইয়ে ডুবে গেলে ওর আর কিছুই মনে থাকে না। এমন সময় ফোন বেজে উঠল। আদনানের ফোন...
-হ্যালো, কি খবর?
-আজ একটু আমাদের মেসে আসতে পারবি?
-কেন? কি হয়েছে? কোন সমস্যা?
-এলেই তো দেখতে পাবি।
আদনান ফোন কেটে দিল। আকাশ চিন্তায় পড়ে গেল। আদনানের আবার কি হল? ওর গলাটা কেমন যেন লাগল। কোন অসুখ-বিসুখে পড়ল নাকি? নাকি আবার...ওর গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে কিছু হল?
সন্ধ্যার সময় মেসের সামনে এসে আকাশের বুক ধ্বক করে উঠল। ঘরের ভিতর অন্ধকার কেন? আল্লাহ আদনানের কিছু হল না তো। আদনান, আদনান আকাশ কাপা গলায় ডাকল। ওর কেমন যেন লাগল। দরজায় টোকা দিল। কেউ খুলল না। ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেল। আবার ডাকল আদনান, এই আদনান। কি ব্যাপার কেউ নেই? এমন সময় হঠাৎ লাইট জ্বলে উঠল। একই সাথে হাততালি, বেলুন ফাটার আওয়াজ। হ্যাপি বার্থডে টু আওয়ার আকাশ। আকাশের হঠাৎ মনে পড়ল আজ তো ওর জন্মদিন। একি ওর সামনে বর্ষা দাড়িয়ে আছে। আকাশ বুঝতে পারছে ওকি স্বপ্ন দেখছে নাকি সত্যি। আকাশ শুধু তাকিয়ে আছে বর্ষার দিকে। কত সুন্দর বর্ষা। নীল রংয়ের এই ড্রেসটায় ওকে অপূর্ব লাগছে। মুখে কোন মেকাপ নেই, কোন কৃত্রিমতা নেই। রয়েছে কেবল ওর নিষ্পাপ মূখে প্রকৃত সৌন্দর্য। মাথায় ওড়না দিয়ে রেখেছে। মুগ্ধ হয়ে দেখছে আকাশ । এভাবে ও কতক্ষন চেয়েছিল ও জানে না। এমন সময় প্রদীপ লাফিয়ে ওর ঘাড়ে ওঠায় ব্যালেন্স হারিয়ে হুড়মুড় করে পড়ল। সাথে পায়ে জড়িয়ে আদনানও পরে গেল। তিনজনের গড়াগড়ি খাওয়া দেখে পার্বন বলল ব্যাটা নিজে কাদায় পরেছিস তা আমাদের ল্যাং মারছিস কেন? আমরা তো পুরোনো প্লেয়ার বলতে বলতে সন্ধার হাত ধরে কাছে টেনে নিল। হঠাৎ আকাশের মনে পড়ল আজ ওর জন্মদিন অতচ ওর বাবা- মা ওকে উইস করল না। এর কারন কি? এমন সময় প্রদীপ বলে উঠল কেমন লাগলো? ভাগ্যিস আঙ্কেল-আন্টিকে নিষেধ করেছিলাম। না হলে তো তোকে চমকাতেই পারতাম না। আকাশ এখনো কোন কথা বললো না। আকাশ শুধু বর্ষার দিকে তাকিয়ে আছে। যেন ও চোখের পলক ফেললেই বর্ষা হারিয়ে যাবে। অংকিতা খোচা দিয়ে বলে ফেলল, ভাই আর কতক্ষন শুভদৃষ্টি হবে। এবার আকাশ লজ্জা পেয়ে চোখ সরিয়ে নিল। তারপর আদনানকে বলল ব্যাটা জানিস কি টেনশনে ফেলে দিয়েছিলি?
-আর কথা বাড়িও না মি. গ্রেট লাভার। এবার কেকটা কাটো তো।
আর একবার হাততালি দেয়া হল। আর তার মধ্যে দিয়ে আকাশ আর বর্ষা একসাথে মোম নিভিয়ে কেক কাটল। এই মূহুর্তে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী বলে মনে হচ্ছে আকাশের। এর মধ্যে একটা মজার ব্যাপার ঘটল। সবার বলাতে আকাশ বর্ষাকে কেক খায়িয়ে দিতে গেল। কিন্তু কোনো কারনে আকাশের হাত কাপতে কাপতে হাত থেকে কেকটা পড়ে গেল। বর্ষা মুখ বাকিয়ে বলল, হুহ কি আমার বীরপুরুষ, একটা মেয়ের সামনে হাত কাপছে আবার প্রেম করবে। পার্বন বলল, হায়রে আমার পোড়া কপাল আমার ভাইটা মার্শাল আর্ট ক্লাসে এক ডজন লোককে পাঞ্চ আর কিক মারতে পারে কিন্তু নিজের প্রেমিকাকে কেক খাওয়াতে পারে না। বীরত্রিক অধঃপতন। পার্বনের বলার ভঙ্গিতে সবাই হেসে উঠল।
এবার গিফট দেয়ার পালা। বর্ষা দিল একটা শো-পিচ বাবা-মায়ের হাত ধরে আছে তার ছেলে। একি ধরনের গিফট! দেয়ার কথা তো একটা ছেলে আর একটা মেয়ের হাত ধরে আছে বলল, আদিবা। (আদিবা হল আদনানের গার্ল ফ্রেন্ড) -কি করব? তোমাদের ভাই যে বাবা- মায়ের ছোট্ট খোকা, হাসতে হাসতে উত্তর দিল বর্ষা।
জীবন যে এত সুন্দর আর আনন্দময় হতে পারে তা বর্ষাকে পাওয়ার আগে ভাবেও নি আকাশ। আজকাল আকাশের নিজেকে কবি কবি মনে হয়। প্রায়ই বর্ষার হাত ধরে কোনো নির্জনে দাড়িয়ে আকাশ বলতে থাকে,
"ভালোবাসা কি শুধুই ভালোবাসা
ভালোবাসা কি শুধুই কাছে আসা
ভালোবাসা কি নয় একে অপরের পাশে থাকা
ভালোবাসা কি নয় বেচেঁ থাকা
একে অপরের হাত ধরে"...
উত্তরে বর্ষা শুধু হাসে আর আকাশের হাতটা আরো শক্ত করে চেপে ধরে। আকাশও চায় জীবনের বিনিময় হলেও এই হাত ধরে রাখতে। কিন্তু নিশ্চয়ই বাবা-মায়ের হাত ছেড়ে নয়।
আজ বর্ষা তার বাবার কাছে আকাশের কথা বলবে। বর্ষা ঠিক বুঝতে পারছে না যে বাবা ঠিক কি বলবে। মা মারা যাবার পরও বর্ষাকে কোনোদিন তা বুঝতে দেয়নি তার বাবা। সব আবদারই পূরন করেছে। কিন্তু এই ব্যাপারটা তো সম্পূর্ন ভিন্ন।
বর্ষার সমস্ত কথা তার বাবা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। তারপর তিনি বললেন...
-দেখ মা, আমি এ পর্যন্ত তোমার কোনো আবদার অপূর্ণ রাখি নি। কিন্তু তুমি তোমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এভাবে কি করে নিলে?
-বাবা, আকাশ খুব ভালো ছেলে, ভাল ছাত্র। ওর ব্রাইট ফিউচার রয়েছে।
-আমি ফিউচারের ব্যাপারে ইন্টেরেস্টড নই। আমি একজন প্রাকটিকাল বিজনেসম্যান। তাই আমার কাছে প্রেজেন্টটাই বড়। ভবিষ্যত কেউ জানে না।
-কিন্তু বাবা...
-দেখ আমি যা বলার বলেছি। আমি হিন্দি ছবির ভিলেন নই যে তোমাকে এখন আটকে রাখব। যে এরপর তুমি আকাশের সাথে পালিয়ে গেলে আমি গুন্ডা নিয়ে খুজতে বের হব। তুমি চাইলে এখনই ওর সাথে যেতে পার। কিন্তু তাহলে আমার সাথে তোমার কোন সম্পর্ক থাকবে না। তাই সিদ্ধান্ত তোমার। তোমার কাছে কে বেশি আপন আমি না আকাশ।
নদীর পাড়ে দাড়িয়ে আছে আকাশ আর বর্ষা। তার বাবার বলা, সব কথা খলে বলল আকাশকে। আকাশ কোন কথা না বলে শুনে গেল।
-দেখ আকাশ বাবা- মায়ের চেয়ে কেউ আপন হয় না এটা তোমারই কথা। আর আমার বাবা-মা দুজনেই হচ্ছেন আমার বাবা। তাই আমাদের জার্নিটা বোধ হয় এই পর্যন্তই।
-Sorry and Good bye.
-Same to you.
A Few Years Later...
২১শে নভেম্বর, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস। সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে প্রেসস্যুটে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার আকাশসহ আরও অনেকে।
-ব্রি.আকাশ, বাংলাদেশের আজকের এই অবস্থানের জন্য প্রায় পুরো কৃতিত্বটুকুই আপনার প্রাপ্য। আপনার আ্যন্টিম্যাটারিক বম্ব আবিষ্কারের জন্যই আজকের বিশ্বে নিউক্লিয়শক্তিবিশিষ্ট বিভিন্ন দেশ UK, USA, RASIA, JAPAN থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে। এছাড়া এত কম বয়সে আপনার আগে কেউ ব্রিগেডিয়ার পদ লাভ করেনি। জীবনের এই সফলতার ব্যাপারে কিছু বলুন।
-সাধারনত সকলে বলে থাকে জীবনের একটা টার্গেট থাকা উচিত। কিন্তু আমি বলব যার জীবনে একটা টার্গেট সে কেবল একবারই সফল হবে। তাই আমার কথা হচ্ছে টার্গেট ছাড়াই এগিয়ে যাও আর একাধিক বার সফলতা অর্জন কর। এতে তুমি ব্যর্থ হলেও হতাশাগ্রস্ত হবে না।
আকাশ তার কলেজের সামনে দাড়িয়ে আছে। এখন তার বয়স ৩২ বছর। সে যতদিন বাচবে এই দিনটাতে কলেজের সামনে আসবে। কারন আজকের এই দিনেই তার বর্ষার সাথে দেখা হয়েছিল। আজ ওর কলেজের ভিতরে যেতে ইচ্ছা করছে। ছাত্র-ছাত্রীরা কেউ কলেজে হাত ধরাধরি করে ঢুকছে। এমন সময় আকাশের ধাক্কা লাগল এক নীল শাড়ি পড়া এক মহিলার সাথে সে বলে উঠল এই যে মি. চোখে দেখতে পান না? তার দিকে চেয়ে চমকে উঠল আকাশ। নিজের অজান্তেই মুখ থেকে বের হয়ে গেল 'বর্ষা'।
কলেজ থেকে একটু দূরে শানবাধানো ঘাটে এসে বসেছে আকাশ আর বর্ষা। আকাশ আগে কথা বলল।
-তুমি কি করছ এখন?
-এই কলেজেই চাকরির চেষ্টা করছি।
আর প্রশ্নটা করতে গিয়েই থেমে গেল আকাশ। এই প্রশ্নটা করা কি ঠিক হবে? বোধ হয় আজও আকাশের মনের কথা বুঝতে পারে বর্ষা। তাই উত্তরটা বর্ষাই দিল।
-আমি জানি তুমি এখনো বিয়ে করনি। আর তুমি জান যে আমি কোন কম্পিটিশানে হারি না।
প্রায় দেড় কি.মি. দূরে একটি বিল্ডিং এর জানালায় একজন লোক। হাতে স্নাইপার যার ব্যারেল থেকে ধোয়া উড়ছে। লোকটা ফোনে কথা বলছে। Hello, Mr. President. I have killed Bri. Akash. But I had to kill a girl as she was in a position. However tusk is completed.
আজকের দিনটায় আকাশটা ছিল মেঘলা। এখন বৃষ্টি শুরু হল। আর বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে আকাশ আর বর্ষার লাশ।
There is no end for love...
Some love stories are beyond life and death...
Some love stories are beyond life and death...
writer: Raj Ahmed Turjo & Nil.
©Copyright 2017 STORYLANDBD
All Rights Received By StorylandBD
All Rights Received By StorylandBD
What a story. I am a fan of Nil Ahmed& Raj
ReplyDelete