![]() |
Strange Experience.written by: Robin. Photo credit: Pixabay |
আমি একজন বিজ্ঞানের ছাত্র। তাই আমি ভূত-প্রেত ইত্যাদি Paranormal ব্যাপারে বিশ্বাস করি না। তবে জ্বীনের কথা ভিন্ন কারন তা পবিত্র কোরআন দ্বারা স্বীকৃত। আজ আমি যে ঘটনাটা বলতে যাচ্ছি তার কোন ব্যাখ্যা আমি আজও পাইনি। আমি একটা প্রাইভেট পড়া শে্ষ করে বাড়ি ফিরছিলাম। তখন আমি প্রায়ই হেটে হেটে বাড়ি আসতাম। তা ঐ দিনও আমি হাটছিলাম তখন বেশি রাত হয়নি। কেবল সন্ধা ৮ টা বাজে। তবে আকাশে মেঘ থাকার ফলে বেশ অন্ধকার ছিল। আর রাস্তার রোডলাইট গুলো চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে এসে শেষ। এমনিতে গাড়ি চলাচল করায় তেমন অসুবিধে হয় না। তবে সেদিন রাস্তাটাও কেমন যেন নির্জন ছিল। অন্ধকারে হাটতে হাটতে হঠাৎ দেখলাম একজন বয়স্ক লোক আমার সামনে দিয়ে হাটছে তবে খুব ধীরে। আমি ওনাকে পার হয়ে গেলাম। কোন কারনে আমার ঘাড়ে ও পিঠে শিরশির অনুভূতি হচ্ছিল। লোকটা তখন একটা গোঙ্গানি দিল আর তার পায়ের শব্দ শুনে মনে হল সে হাটার গতি বড়িয়ে দিল। আমি দেখলাম লোকটা টলোমলো পায়ে এগুচ্ছে। আমি ভাবলাম লোকটা মাতাল হবে হয়তো। তাই দ্রুত হাটা শুরু করলাম। কিচ্ছুক্ষন পর লোকটার পায়ের আওয়াজ পাচ্ছিলাম না। পিছনে তাকালাম দেখলাম লোকটা নেই। হঠাৎ সামনে থেকে কেউ কর্কশ স্বরে হেসে উঠল। দেখি সেই লোকটাা। চমকে উঠে দু’পা পিছিয়ে গেলাম। লোকটার চেহারায় কোন অস্বাভাবিকতা নেই কেবল তার দাতগুলো ফসফরাসের মত জ্বলছে। লোকটা তার একটা হাত উপরে তুলল তখন দে্খলাম তার হাতের নখগুলো অনেক বড় এবং ধারালো। লোকটা এগিয়ে এসে আমার বাম কাধে খামচে ধরল। কিন্ত আমি কোন ব্যাথা অনুভব করলাম না। তবে বুকের মধ্যে একটা চাপা চাপা অনুভূতি হতে লাগল। যেন বাতাসে অক্সিজেন কম। তখনই টের পেলাম আমার চারপাশে বাতাসের ঘনত্ব কমে গেছে। আর বাতাসটা যেন চাপ দিয়ে আমার ভিতর ঢুকে যেতে চাইছে। আমার কপালের দুই পাশের শিরাগুলোয় ব্যথা করতে থাকে। বুজতে পারছিলাম সেগুলো ফুলে গেছে। আমি নিয়মিত মার্শাল আর্ট প্রাকটিস করি। ডান হাত মুঠো করার চেষ্টা করলাম তারপর আল্লহু বলে প্রচন্ড এক ঘুষি বসিয়ে দিলাম। লোকটার চোয়ালের হাড় এবং গলার শিরার মাঝখানে। তখনই আর লোকটাকে দেখতে পেলাম না। লোকটা উধাও তারপর সাবধানে বাড়ি ফিরে এলাম। কিন্তু মনে হচ্ছিল যেন কেউ আমাকে অনুসরণ করছে।
এই ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা এখনো বের করতে পারলাম না। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে এটা আমার হ্যালুসিনেশন ছিল না। কারন তখন রাত বেশী ছিল না, আবার আমি ক্লান্ত বা ঘুম আসছে এমন অবস্থায়ও ছিলাম না কংবা এসব ব্যাপার নিয়ে চিন্তাও করছিলাম না। সবচেয়ে বড় কথা লোকটার নখের দাগ এখনো আমার বাম কাধে রয়ে গেছে।
এই ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা এখনো বের করতে পারলাম না। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে এটা আমার হ্যালুসিনেশন ছিল না। কারন তখন রাত বেশী ছিল না, আবার আমি ক্লান্ত বা ঘুম আসছে এমন অবস্থায়ও ছিলাম না কংবা এসব ব্যাপার নিয়ে চিন্তাও করছিলাম না। সবচেয়ে বড় কথা লোকটার নখের দাগ এখনো আমার বাম কাধে রয়ে গেছে।
লেখক-রবিন।
©Copyright 2017 STORYLANDBD
No comments:
Post a Comment