Ek Rashi Valobasa


রাহুল তখন ভার্সিটিতে পড়ে, ভার্সিটিতে প্রথম দিন কেমন যেন একা একা লাগছিল তার কোন পুরোনো বন্ধু নেই। এমন সময় গেট দিয়ে ঢুকল রিয়া। তাকে প্রথম দেখে ভাল লেগে যায় রাহুলের। তার পর থেকে প্রত্যেক ক্লাসে রাহুল তাকিয়ে থাকত রিয়ার দিকে। কিন্তু সে কখনো বলতে পারেনি রিয়াকে। আস্তে আস্তে রাহুলের নতুন নতুন বন্ধু হয়। এমনি এক বন্ধুর কাছে রাহুল বলে তার ভালবাসার কথা। সেই বন্ধটি গিয়ে বলে রিয়ার এক বান্ধবীর কাছে সে আবার বলে রিয়ার কাছে। আর এভাবেই তাদের মধ্যে ভালবাসার সৃষ্টি হয়। দুজনই দুজনকে অনেক ভালবাসে। এক সময় রিয়ার পরিবারের লোকজন জানতে পারে এবং রিয়ার বিয়ে ঠিক করে কেননা রাহুলরা ছিল গরীব। রিয়া আর রাহুল দুজনে মিলে প্লান করে পালিয়ে ঢাকা যায় আর বিয়ে করে ফেলে তখন রাহুলের কাছে তেমন কোনো টাকা-পয়সা ছিলনা তাছাড়া সে বেকার ছিল যার ফলে তাদের পক্ষে একটা বাসা ভাড়া করে থাকা সম্ভব ছিলনা তাই রাহুল রিয়াকে মেয়েদের ছাত্রীবাসে এবং সে নিজে ছেলেদের  ছাত্রাবাসে থাকতে শুরু করে। রাহুল তখন একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করা শুরু করে তখন তার বেতন ছিল ৬০০০/- টাকা। তাকে রিয়ার পড়াশুনা ও নিজের পড়াশুনার খরচ চালাতে হত কিন্তু মাত্র ৬০০০ টাকায় এতকিছু  সম্ভভ নয়। এভাবে অনেক কষ্টে কিছু দিন যাওয়ার পর... হঠাৎ একদিন রাহুল যে রেষ্টুরেন্টে কাজ করত সেখানে কিছু বিদেশী লোক আসে কিন্তু কেউ তাদের অর্ডার নিতে পারেনা কেননা তারা ইংরেজী পারেনা পরে রাহুল এসে তাদের সাথে ইংরেজীতে কথা বলে অর্ডার নেয় এবং এটা ওই রেস্টুরেন্টের মানেজ্যার দেখে রাহুলের বেতন বাড়িয়ে ২০,০০০/- করে দেয়। রাহুল তো খুব খুশী তারা এখন থেকে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারবে। সে রিয়ার জন্য শাড়ি কিনে এবং সে রিয়ার ছাত্রীবাসে যায় এসব কথা বলতে। গিয়ে সে রিয়ার এক বান্ধবীকে বলে রিয়াকে ডেকে দিতে। তখন রিয়ার বান্ধবী বলে রিয়াতো চলে গেছে আর এই চিঠিটা আপনাকে দিতে বলেছে। রাহুল তখন চিঠিটা পড়ে চিঠিতে লেখা ছিলঃ 
প্রিয় রাহুল, 
আমি জানি তুমি কষ্ট পাবে কিন্ত কি করব বল এভাবে কি জীবন চলে। মাত্র দুটো জামা পড়ে মাসের পর মাস কাটিয়ে দিতে আমি পারবোনা আর তাই আমি বাবার সাথে চলে গেলাম। 
চিঠিটা পড়ে রাহুল বুঝতে পারল টাকাই সব ভালবাসার কোন দাম নেই এই দুনিয়ায়।
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা)
(সংগৃহিত)  

STORYLANDBD
STORYLANDBD

This is a short biography of the post author. Maecenas nec odio et ante tincidunt tempus donec vitae sapien ut libero venenatis faucibus nullam quis ante maecenas nec odio et ante tincidunt tempus donec.

No comments:

Post a Comment