"তন্ময়, এই তন্ময় বাবা ওঠো স্কুলে যেতে হবে তো নাকি"। সারারাত না ঘুমিয়ে মাত্র ২ ঘন্টা ঘুমানোর পর একডাকেই ওঠা কিভাবে সম্ভব। অন্তির ডাকে অনেক কষ্টে হেলতে দুলতে উঠলো তন্ময়। দেরি হয়ে গেছে। কোনোমতে নাস্তাটা করেই দৌড়। ভাগ্যিস বাস ছুটে যায়নি।
-"এই ছেলেটা যে কি করেনা। নিশ্চয়ই রাতে ঘুমোয়নি ঠিকভাবে। যাই আজ সকাল সকাল কাজগুলো সেরে ফেলি।"
ঘর পরিষ্কার করতে করতে তন্ময় এর বালিশের নিচে খুজে পায় একটি ডায়েরি। অন্তিও কৌতূহলবসত ডায়েরিটা পড়ছে।
-"মিশু"......
তন্ময় স্কুল থেকে আসলো। আসতেই অন্তি বললো, -"ডায়েরিটা কোথায় পেয়েছিস?"
-"মা কাল সন্ধ্যায় যখন বন্ধুদের সাথে খেলা করে বাড়ি ফিরছিলাম, তখন রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখলাম। চেনা চেনা লাগছিল বড্ড তাই সাথে করে নিয়ে এসেছি।"
-"কিন্তু এরকম একটা ডায়েরি তো তোর বাবার কাছেও আছে।"
-"ওহ সেই ডায়েরিটা না মা যেটা বাবা কখনো আমাদেরকে ধরতে দেয় না।"
-"হ্যাঁ সেটাই তো মনে হচ্ছে।"
অন্তি কে বেশ চিন্তিত মনে হচ্ছে।
-"আচ্ছা তুই হাত মুখ ধুয়ে খেয়ে নে যা।"
অন্তি তাড়াতাড়ি ঘরে গিয়ে তন্ময় এর বাবার ডায়েরীটা খুঁজতে থাকলো। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ও পেল না। হঠাৎ চোখ গেলো তালাবদ্ধ লকারে। কিন্তু চাবিতো নেই। অবশ্য চাবি ছাড়া কিভাবে তালা খুলতে হয় সে বিষয়ে অন্তি বেশ ভালই পারদর্শী। লকার খুলতেই দেখতে পেল হুবহু ঐরকম একটি ডায়েরি। এটাতো ডায়েরির দ্বিতীয় অংশ। অন্তি ডায়েরিটা পড়ছে….
"মিশু ঘুম থেকে উঠলো। কাল অনেক কেদেছে মেয়েটা। সারাটাদিন খায় ও নি। প্রায় সপ্তাহখানিক লেগে গেলো স্বাভাবিক হতে। কিছুটা সুস্থ হতেই এসে বাবাকে বললো, "অনেক ধন্যবাদ আপনাদের এই কয়দিন আমার খেয়াল রাখার জন্য কিন্তু এখন আমি যাওয়ার অনুমতি চাইছি।"
বাবা-আরে কোথায় যাবে তুমি? আত্মীয়স্বজন কেউ কি আছে?
-না কেউ নেই। কিন্তু আমি আপনাদের আর কষ্ট দিতে চাইনা এমনিতেই অনেক করেছেন আমার জন্য।
-তুমি তো আমাদের মেয়ের মতো আর সবচেয়ে বড় কথা যাবে কোথায়? আপাতত থাকো পরে কোনো একটা ব্যবস্থা হলে দেখা যাবে।
সেদিন মিশু থাকতে তো চায়নি কিন্তু আর কোনো উপায়ও ছিলো না। তবে ওইদিন থেকে বাড়ির সবকাজ কর্মের ভার যেনো নিজের উপর তুলে নিলো। আত্ম-সম্মান অনেক বেশি কিনা তাই বিনাপরিশ্রমে কারো উপকার নিতে চায়নি। মা-র ও দেখাশোনা বেশ ভালোভাবেই করছে। ও আসাতে মায়ের খানিকটা বিশ্রাম হয়েছে।
আমি মেয়েটাকে দেখে মাঝেমধ্যে খুব অবাক হই। ও করতে পারেনা এমনকিছু আছে বলে মনে হয়না। কিছুদিনেই ওর রান্না বাসায় সবাই এতো পছন্দ করেছে যে, বাবা বলেই বসলো, "বুঝলি মা, এখন থেকে রান্নাটা তুই-ই কর। ওই এক হাতের পুরোনো খাবার এখন আর মুখে ধরেনা।" একি মিশু কাদছে। আবেগে আপ্লুত হয়ে চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রু ঝরছে। আবেদনময়ী কন্ঠে বললো, "জেঠু আমি আপনাকে বাবা ডাকতে পারি? যখন থেকে বোঝা শুরু করেছি তখন থেকেই মায়ের কাছেই বড় হয়া কখনও বাবার ভালোবাসা পাইনি কিন্তু আমার মতো এতিম মেয়েকে আপনারা এতো ভালোবেসেছেন এ তো আমার সৌভাগ্য।"
মা টেবিল থেকে উঠে এসে মিশু কে জড়িয়ে ধরে বললো, "চুপ একদম আর কোনোদিন যদি শুনেছি নিজেকে এতিম বলতে। আজ থেকে আমাকে মা বলে ডাকবি।"
মিশুর মধ্যে যেন অন্যরকমের একটা মায়া রয়েছে। বিনম্রতা চেহারায় ফুটে ওঠে। এটাই হয়তো সুন্দরের সংগা। সুন্দর হওয়ার জন্য ফর্সা চামরার প্রয়োজন হয়না, দামি মেকাপ, ভালো কাপড় এসব দিয়ে সৌন্দর্য প্রকাশ হয়না। আসল সৌন্দর্যই হয়তো ভালো মন আর চেহারায় ফুটে ওঠা এই বিনম্রতা। সারাদিন যেন ওকে নিয়েই ভাবছি।
সন্ধ্যায় মা আমার ঘরে এলো, "বাবা আসবো"।
-"আরে মা এসো, নিজের বাসাতেই অনুমতি নেয়া শুরু করলে কবে থেকে"।
-"যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করিস তাই আরকি"।
-"কিছু বলবে?"
-"কেনো কাজ ছাড়া কি ছেলের ঘরে আসতে পারিনা।"
-"কি যে বলনা মা তুমি।"
-"তা কাজ বাজ কেমন যাচ্ছে।"
-"এইতো যাচ্ছে ভালোই।"
-"তা বাবা এখন চাকরি বাকরি করছিস বিয়েরও বয়স হয়েছে। মেয়ে টেয়ে দেখা শুরু করি?"
-"মা মাত্র তো শুরু করলামই কিছুদিন আগে। আরো বছরখানেক যাক তারপর নাহয় দেখা যাবে।"
এরই মধ্যে মিশু এসে চা দিয়ে গেলো। মিশু যেতেই মা,
-"কি লক্ষী মন্ত মেয়ে, ইশ ও যদি মুসলিম হতো, ওকেই তোর বউ করে রেখে দিতাম। এরকম মেয়ে আজকাল পাওয়া বড্ড দায়।"
আমি একদম চুপ করে রইলাম। মা চলে গেলেন তার কাজে। আমারও মনে প্রশ্ন আসলো আসলেই তো ও যদি মুসলিম হতো?
নিজের অজান্তেই মনে হচ্ছে ওর প্রতি একটা ভালোলাগা তৈরী হচ্ছে। কিন্তু এটা কি আসা উচিত?
এক সকালে হঠাৎই মা এসে তাড়াতাড়ি করে আমাকে ঘুম থেকে ডাকলো। ঘুম থেকে উঠে শুনি এক আশ্চর্য ঘটনা। মিশু নাকি মুসলমান হতে চায়। উহু ওকে কেউ জোর করেনি। কেউ এ বেপারে কিছু বলেওনি। এটা ওর নিজের সিদ্ধান্ত। বাবা ওকে জিজ্ঞেস করল," তুই কি সিদ্ধান্ত নিয়ে একদম নিশ্চিত?"
-" হ্যাঁ বাবা।"
-" ঠিক আছে মা তাহলে আমি আমাদের হুজুরের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলে নেই।"
আজ কেন জানি আমার অনেক খুশি খুশি লাগছে। কিন্তু আমার এত খুশির কারণ কি নিজেও জানিনা। মা বাবাও আজ ব্যাপক খুশি। তারা মিষ্টি এনে আশেপাশে সবাইকে খাইয়েছে। মিশু আজ অনেক খুশি। গত এক বছরে এই প্রথম মিশুকে হাসতে দেখছি।
আসলেই অদ্ভুত সুন্দর লাগে মেয়েটাকে হাসলে। ওকে যেন এক নতুন ভাবে আবিষ্কার করেছি। ওর প্রতি সুপ্ত ভালো লাগাটা যেন দিন দিন অনেক প্রখরভাবে ভালোবাসায় পরিণত হচ্ছে। কিন্তু বাড়িতে বলি কি করে। আর ও যদি আমাকে পছন্দ না করে বা আমাকে যদি ভুল বুঝে বসে। নাহ আগে মাকে বলি।
এরই মধ্যে অফিসের কাজ পড়ে গেলো। ৬মাসের জন্য দেশের বাইরে যেতে হবে। তাছাড়া মিশুও তো ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে। এতো তাড়াহুড়োর তো দরকার নেই। তাহলে এসেই মা কে বিয়ের কথা বলবো। মা নিশ্চয়ই মানা করবেনা। অনেক পছন্দ করে যে ওকে।
চলে এলাম। বাবা-মার জন্য খারাপতো লাগছেই সাথে মিশুর জন্যেও অনেক মন খারাপ হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই ফোন দেই। কিন্তু মিশু কেন জানি কথা বলতে লজ্জা পায় নাকি আমার সাথে কথা বলতে ভালো লাগেনা? আচ্ছা ও কি আদৌও আমাকে পছন্দ করে? আমি যেভাবে ওকে নিয়ে ভাবি ও কি আমাকে নিয়ে ভাবে? এক কাজ করি প্রানন কে বলি দেখি ও কি বলে। প্রাননকে সব খুলে বললাম। প্রানন বললো," একটু ভেবে দেখ আবারো৷ সবাই ব্যাপারটা কিন্তু ভালোভাবে নেবেনা।"
-"আরে বাবা মা তো রাজি হবেনই। অনেক পছন্দ করে ওকে তাছাড়া ধর্মীয় সমস্যাটাও তো এখন আর নেই।"
- "এমনি পছন্দ আর ছেলের বউ দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে।"
-"মার সাথে কথা বলা দরকার।"
-" পাগল নাকি তুই। এসব ব্যাপারে সরাসরি কথা বলাটাই ভালো। এখন বললে হিতের বিপরীত হতে পারে।"
-"তাহলে এখন বলবোন?"
-"না।"
-"আচ্ছা।"
বাড়ি ফেরার সময় হয়ে এসেছে। আজ জীবনে দ্বিতীয়বারের মত মিশু আমাকে ফোন করেছে। কিন্তু কেন জানি মনে হচ্ছে ওর মন খারাপ।
-"কিছু হয়েছে?"
-"নাতো, কেন এমনি ফোন করতে পারিনা?"
-"না না তা নয়।"
-"কেমন আছেন আপনি?"
-"হ্যা, ভালো আছি তুমি?"
-"হুম ভাল। আচ্ছা আপনার কি এমন কিছু বলার আছে যেটা আপনি কখনো আমাকে বলেননি?"
মিশুর এই কথায় হঠাৎ একটা ধাক্কা খেলাম। নিজেকে কোনোমতে সামলে নিয়ে বললাম, "কই না তো এমন কিছু তো নেই।"
-"সত্যিই নেই।"
-"না সত্যিই নেই।"
মিশুর কাজ আছে বলে ফোনটা রেখে দিলো।
এই মিথ্যেটা বলতে কেমন জানি লাগলো। কিন্তু এরকম হঠাৎ করে সত্যি বলতে আমি একদমই প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু মিশুর এই জিজ্ঞেস করাটা যেন ওকে নিয়ে ভাবনার মায়াজালটাকে আরো গভীর করে তুলেছে।
আমার বাড়ি ফেরার সময় হয়ে উঠেছে। বাড়িতে গিয়েই আগে বিয়ের কথাটা বলবো। এরি মধ্যে মায়ের ফোন।
-"হ্যাঁ মা বলো।"
-"একটাতো সুসংবাদ আছে।"
-"কি?"
-"আমাদের মিশুর তো বিয়ে ঠিক হয়েছে।"
-"কিহ, মানে কি এসবের, কার সাথে, আর এসব হলো কবে?"
-"ছেলে কে সেটা তোর জন্য সারপ্রাইজ। ছেলে মেয়ে দুজনই দুজনকে অনেক পছন্দ করেছে। তাই আমরাও আর দেরী করিনি। পাকা কথা হয়ে গেছে। তুই আসলেই বিয়ে। তা তুই আসছিস কবে? হ্যালো……."
আমি আর লেখার শক্তি পাচ্ছিনা। প্রানন কি জানেনা এসব। এতোকিছু বাড়িতে হয়ে যাচ্ছে ও তো নিশ্চয়ই এসব জানে। প্রতিদিন আমাদের বাড়িতে যাওয়া আসা ওর। নাহ নিশ্চয়ই কোনো ভুল হচ্ছে।
-"প্রানন..হু হু.."
-.....
-"তুই এরকম করতে পারলি। এতোকিছু হয়ে গেলো আমাকে জানালিও না।"
-"ওহ তার মানে সব জেনে গেছিস তুই। দেখ আমার কিছু করার ছিলোনা আর সবকিছু এতো তাড়াতাড়ি ছিলো যে আমি তোকে বলার আগেই এসব হয়ে গেছে। একদিন বাবা তোদের বাসায় গিয়ে মিশু কে দেখে। আর ওই মূহুর্তেই আমার জন্য মিশুর বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমি এসবের কিছুই জানতাম না। একদিন হুট করে বাবা আমায় ডেকে পাঠায়, তখন সব খুলে বলে। সব শুনেই মিশুর সাথে দেখা করতে যাই আর জানতে পারি মিশুও বিয়েতে রাজি। আমি যখন জানতে পেরেছি ততক্ষনে অনেক দেরী হয়ে গেছে। তাই আমি বাধ্য হয়েছি। পারলে আমায় ক্ষমা করে দিস।"
এতোটাই কি খারাপ আমি যে একটাবার আমায় বলারও প্রয়োজন মনে করলেনা মিশু। কিন্তু মন কেন জানি মানছেনা। তুমি অন্যের হবার আগে তোমাকে আমার অনুভুতি গুলো জানাতে চাই। পারতাম তোমায় ভালোবাসি ভালোবাসি লিখে ২/৪ পৃষ্ঠার চিঠি পাঠাতে বা ফোন করে বলতে কিন্তু আমি চাই আমার প্রত্যেকটা মুহুর্তের অনুভুতিগুলো বোঝাতে। আমি তোমায় অনুতপ্ত করার জন্য লিখছিনা। আমিতো শুধু নিজেকে একটু তোমায় বোঝাতে চাই। তাই আমার সব অনুভুতিটুকূ সহ আমার এই ডায়েরিটাই তোমায় পাঠাচ্ছি। যদি আমার ভালোবাসা টা একটু অনুভব করো তাহলে শেষ বারের মত অন্তত আমায় একবার স্মরণ করো। আমি অপেক্ষায় থাকবো……."
ডায়েরিটা অন্তির পড়া শেষ। ওর চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রু ঝরছে। তন্ময় এসে জিজ্ঞেস করলো," মা, ও মা তুমি কাদছো কেন?" তুমি কি মিশুকে চেনো।"
অন্তি বললো, "হ্যা বাবা খুব ভালো করেই চিনি।"
-"কে ও।"
-"আমি।"
হ্যা অন্তিই মিশু। মিশু মুসলিম হবার পর ওর নাম হয় অন্তি রহমান। কিন্তু সবাই ওকে মিশু বলে ডাকতেই পছন্দ করতো। বিয়ের পর আর সেভাবে ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়নি প্রানন। আর এই ডায়েরি সম্পর্কে মিশু কিছু জানতোই না।
তার মানে প্রাননই রয়েছে এসবের পেছনে। ডায়েরিটা প্রাননের হাতে এসে পড়ে। ফেলে দিলে যদি অন্য কারো হাতে পড়ে যায় তাই এটা এতোবছর ধরে নিজের কাছে রেখে দিয়েছে প্রানন। যখন প্রাননের বাবা মিশু কে পছন্দ করে, মিশু প্রাননকে ডেকে পাঠায়,
-"দেখুন আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবোনা।"
-"কিন্তু কেন?"
-"আমি আকাশ কে পছন্দ করি।"
-"(হাসতে হাসতে) কিন্তু তোমার মনে হয় ও তোমাকে পছন্দ করে।"
-"আমি ওকে চিনি ও আমাকে পছন্দ করে।"
-"কখনো বলেছে?"
-"না।"
-"তাহলে?"
-"এতোকিছু আমি জানিনা আপনি আপনার বাবা কে বলবেন আপনি আমায় বিয়ে করবেন না।"
-"আচ্ছা এক শর্তে। যদি তুমি প্রমাণ করতে পারো আকাশ তোমায় পছন্দ করে তাহলে আমি বাবাকে না বলে দেবো। আর যদি তা না হয় তাহলে আমি কাউকে কিছু বলতে পারবোনা।"
ওই জন্যেই মিশু সেদিন দ্বিতীয়বার আকাশকে ফোন করেছিলো। আকাশও সংকোচের কারণে কিছু বলতে পারেনি। আর মিশুর পক্ষেও সম্ভব হয়নি আকাশের বাবা মায়ের মুখের উপর কিছু বলার।
আর এভাবেই এতো বছর এক মিথ্যের উপর সংসার করে আসছে প্রাননের সাথে। প্রানন প্রথম থেকেই মিশুকে পছন্দ করায় নিজের ভাইয়ের মতো বন্ধুকে ঠকাতেও দ্বিতীয় বার ভাবে নি।
সত্যিটা জানার পরও আজ হয়তো কিছু করার নেই। অনেক দেরী হয়ে গেছে যে……….
Author:
Farhana Akter Mim
Studies at Khulna University of Engineering& Technology
©copyright 2020
All rights reserved by storylandbd
©copyright 2020
All rights reserved by storylandbd
No comments:
Post a Comment