An Abuse Of Mobile Phone...
রাজের বাসায় গিয়ে দেখি অর্ণব এসে গেছে। আজ এখানে আড্ডা মারব আমরা। রাজ, অর্ণব, অর্ণবের স্ত্রী জরিনা, ছেলে কুদ্দস, রাজের মেয়ে ডলি ড্রয়িং রুমে বসে আছে। আমাকে দেখে ডলি আর কুদ্দস দৌড়ে এল। এক এক করে দুজনকে কোলে নিয়ে আদর করলাম। তারপর গিয়ে বসলাম অর্ণবের পাশে। রাজের স্ত্রী রাত্রি চা আর নাস্তা নিয়ে ঢুকল তারপর বসল জরিনার পাশে। আমরা বড়রা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছি। কুদ্দস আর ডলিও তাদের মত কথা বলছে কেক আর জুস খেতে খেতে। হঠাৎ দেখি দুজন ঝগড়া করা শুরু করল। মোবাইল ফোনের ভাল দিক আর খারাপ দিক নিয়ে তর্ক শুরু করেছে। একসাথেই দুজন এসে আমাকে ধরল। ভালো দিক বেশি না খারাপ দিক?
আমার একটা ঘটনা মনে পড়ল। তাই আমি বললাম, বেশ আগে তোমরা শান্ত হয়ে বস। একটা গল্প বলি। দুজনেই বসল।
তখন ২০১৯ সাল, আমি শুরু করলাম। অর্ণব শুনেই চমকে উঠে আমার দিকে চাইল। বুজলাম আমি কোন ঘটনাটা বলতে চাইছি ও বুজতে পেরেছে। ও উঠে যেতে চাইল। আমি চট করে ওর হাত ধরে বসিয়ে দিলাম। হাসিমুখে ওর দিকে চাইলাম ভয়ে ওর মুখ কালো হয়ে গেছে( প্রায় নিগ্রোর কাছাকাছি)। আমি আবার শুরু করলাম.................
আমদের এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ। কয়েকমাসের ছুটি। খুশির অন্ত নেই। কেবল অর্ণবের শান্তি নেই। বেচারা তখনো একটা GF মানে Girlfriend জোগাড় করতে পারে নি। অনেকটা পাগলা কুত্তার মতো খেপে গেছে। এই ব্যাপারে ঠাট্টা করতে গেলে কামড়ে দিতে চায়। তখন খালা ওকে একটা ফোন কিনে দিলেন।
সকলে খুব আগ্রহ নিয়ে আমার কথা শুনছে কেবল থরথর করে কাপছে বলে অর্ণব মন দিতে পারছে না।
তা ফোন পেয়ে অর্ণব তবু একটু স্বাভাবিক হল। Facebook এ সুন্দর সুন্দর মেয়েদের Friend request পাঠায়, এর ওর নাম্বার জোগাড় করে। যাই হোক একদিন একটা Wrong নাম্বারে ফোন দেয়। কোন মেয়ে ফোন ধরল। গলার স্বর বেশ মিষ্টি।
হঠাৎ অর্ণব আমার পা জড়িয়ে ধরে আর বলতে নিষেধ করল। সকলে হকচকিয়ে গেল। আমি ওকে ধমক দিয়ে বললাম, বউ বাচ্চার সামনে পা ধরছিস লজ্জা করে না। সকলের অনুরোধে আবার বলা শুরু করলাম।
তো আস্তে আস্তে মেয়েটার সাথে অর্ণবের সম্পর্ক হল। রাত জেগে কথা বলতে বলতে শুকিয়ে ও একেবারে রাস্তার কুত্তার মতো হয়ে গেল। তাই ওকে একদিন জিজ্ঞাসা করলাম, তোর অবস্থা এমন কাদাঁ ঘাটা কুত্তার মত হল কি করে? ও বলল, হাঃ হাঃ স্বপ্নের রাজকন্যার সাথে কথা বলি তো তাই। তা একদিন মেয়েটি দেখা করতে চাইল। ব্যাস নির্দিষ্ট দিন অর্ণব স্যান্ডেলিনা সাবান দিয়ে গোসল করল, চুলে নিল প্যান্টিন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার। এরপর কটকটে হলুদ শার্টটা পড়ার আগে শরীরে পাউডার মাখলো। ঠোটে পমেট মারল। এরপর শার্টের উপর Lay a water girl এর পুরো বোতল খরচ করার পর ওর মায়ের ব্যাগ থেকে কয়েক হাজার টাকা সরিয়ে বেরিয়ে পড়ল। পথে পার্লার থেকে একটু ভ্রু প্লাগও করল। এরপর KFC তে দেখা করল মেয়েটার সাথে। এরপর খাবার অর্ডার দিয়ে উপর তলায় গেল। মেয়েটা সত্যিই বেশ সুন্দর। অর্ণব তো খুশিতে নর্দমার পানিতে ভাসছে। বেশ কিছুক্ষন কথা বলল ওরা। এমন সময় খাবার নিয়ে দুজন ওয়েটার ঢুকল রুমে। তবে ওয়েটার না হয়ে ওদের রেসলার হওয়া উচিত ছিল। অর্ণব ওদের অতটা খেয়াল না করে তাড়াতাড়ি যেতে বলল। কিন্তু ওরা পাথরের মত দাড়িয়ে রইল। কিছুক্ষন পর অর্ণব বিরক্ত হয়ে ওদের ধমক দিল। ওরা বলে উঠল, কেন দুলাভাই খুব জরুরী কাজ আছে নাকি। তা বোনের সাথে যখন কথা বলছেন শালাদের তো কিছু দিতে হবে, তাই না। এই বলে ওরা দুজন অর্ণবের টাকা, মোবাইল, ঘড়ি, আংটি, চেন সব নিয়ে নিল। একজন বলল, দুলাভাইয়ের শার্টটা খুব সুন্দর খুলে নেই। অন্যজন বলল, প্যান্টটাও খুলে নেনা, ম্যাচিং করে পরেছে না। ওরা অর্ণবের শার্ট-প্যান্ট খুলে নিল। অর্ণব কেবল অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল মেয়েটির দিকে। সে এখনো মিষ্টি করে হাসছে। তারপর অর্ণবকে গুডলাক বলে ওরা তিনজন চলে গেল।
হঠাৎ একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন এল। রিসিভ করে জিজ্ঞেস করলাম কে। অর্ণব চিৎকার করে কেদে বলে উঠল আমি রকি টম আমাকে বাচাঁ। সব শুনে আমি ছুটে গেলাম KFC তে। দেখি অর্ণব শুধু একটা আন্ডারওয়ার পরা। এদিকে ম্যানেজার বিল চাইছে। বিল আমি দিয়ে দিলাম কিন্তু দেখি বিল দেয়ার পর আমার কাছেও আর টাকা নেই। ওকে কি পরিয়ে নেই একটা লুঙ্গিও কিনতে পারব না। তখন এক ওয়েটার ওকে একটা টেবিল মোছা গামছা দিল। অগত্যা ওটা জড়িয়েই ওকে আনতে হল। এদিকে ও একটু এগোয় আর লাফিয়ে ওঠে। কি কারন জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয় না। তবে ওর লাল হয়ে ওঠা মুখ দেখে বুঝতে বাকি রইল না যে গামছায় মরিচ লেগে ছিল। তো কি দেখলে তো মোবাইল ব্যবহারের খারাপ দিক। অর্ণব ছাড়া সবাই প্রচন্ড জোড়ে হেসে উঠল। রাজ তো হাসতে হাসতে প্রায় আমার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছিল।
Writer: Ranveer Ahmed Robin
All rights received by storylandbd
©Copyright 2018 storylandbd.
What a funny story it is!������
ReplyDeleteHahaha interesting story.������
ReplyDelete