How to Make Money in Online
অনলাইনে উপার্জন কথাটা শুনলেই আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। কেননা আজকের পৃথিবীতে খুব কম মানুষই আছে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে না। আর আমরা দিনের অনেক সময়ই ইন্টারনেট ব্যবহার করি। আর যদি সেই ইন্টারনেট থেকে অর্থ উপার্জন করা যায় তাহলে তো কথাই নেই। আজকাল কিন্তু অনেকেই এই ইন্টারনেট জগৎ থেকে অর্থ উপার্জনকে পেশা হিসেবে নিয়েছে।
প্রথমে কয়েকটি সাইটের বিযয়ে বলা যাক-
YouTube |
YouTube: বলা হয়ে থাকে অনলাইনে আয়ের সবথেকে প্রথম পছন্দ সবার YouTube এবং এই প্লাটফর্মে আয়ও কিছুটা বেশী। তবে এখানে পরিশ্রম আর ধৈর্যের দরকার টাও বেশি। কারন কেউ যদি ভেবে থাকেন আজ চ্যানেল খুলব কাল থেকে হাজার হাজার ডলার আয় করব। তাহলে আপনার ধারণা বদলে ফেলতে হবে। কেননা এখন ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম সাথে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ছাড়া মনিটাইজড করা সম্ভব নয়। তবে যদি ধৈর্য ধরে মান সম্পন্ন কনটেন্ট আপলোড করেন একটা সময় আপনি পারবেন সেই হাজার ডলার আয় করতে।
Blog |
Blog/Website: YouTube এর পরেই সবার Blog বা website থেকে উপার্জন করা সবার পছন্দ। এখানে উপার্জন করাটা YouTube এর মত কঠিন নয়। তবে এখানেও ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। আপনি এই লেখাটা এখানে পড়ছেন এটা একটা Blog আর খুব সম্ভব বিজ্ঞাপন দেখতে পারছেন। যেই বিজ্ঞাপনগুলে দিচ্ছে Google Adsense. এখানে আয় করতে গেলে আপনার কনটেন্ট সম্পূর্ণ আপনার নিজের হতে হবে এমনকি এখানে ব্যবহৃত ছবি গুলো অন্যের হলে হবে না।
আর যখন বিজ্ঞাপন দেখাতে শুরু করবে নিজের Blog এর বিজ্ঞাপন নিজে ক্লিক করবেন না।
Facebook: দিনে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেসবুক ব্যবহার করি আমরা অনেকেই। এখন ফেসবুক থেকেও অর্থ উপার্জন সম্ভব। Youtube এর মত এখানেও ভিডিও আপলোড করে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে উপার্জন করা যায় তবে রয়েছে ফেসবুকের নানাবিধ শর্ত। শুধুমাত্র ফেসবুক পেজে রয়েছে এমন ভিডিও থেকে আয় করা যাবে তার সাথে পেজের থাকতে হবে ১০০০০ লাইক এবং ভিডিওতে ৩০০০০ ভিউ। তবে আপনারা website থাকলে ফেসবুক ইনস্টান্ট আর্টিকেলের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন।
Affiliate Marketing: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বোঝায় কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রমোশন। এক কথায় তাদের পণ্য বিক্রি। এর জন্য আপনার থাকতে হবে YouTube channel, Blog/website বা ফেসবুক পেজ, প্রোফাইল। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পণ্যের লিংক আপনার ব্লগ বা ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব ভিডিওতে শেয়ার করবেন এবং ঐ লিংক থেকে যতজন সেই পণ্যটি কিনবে সেই হিসেবে আপনি কমিশন পাবেন।
Fiverr: এই ওয়েবসাইট মূলত ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এই ওয়েবসাইটে কাজ করতে হলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ের উপর থাকা চাই ভাল দক্ষতা। যেমন, ওয়েবসাইট ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইটের জন্য ভাল আর্টিকেল লেখার দক্ষতা। তাছাড়া আরও আছে ভয়েস মেকওভার, Animation making.
Google Adsense: ওয়েবসাইট, ইউটিউব এসবে আয়ের জন্য সবার প্রথম পছন্দ গুগল অ্যাডসেন্স। এখানে আয়ের পূর্বে গুগলের শর্ত বা নীতিমালা মেনে চলতে হয়।
Amazon Kindle Direct Publishing: আমাজন কিন্ডল ডাইরেক্ট পাবলিশিংয়ে যারা নিজেরাই একটি বই লিখেছেন তারা এটি আমাজনে আপলোড করার জন্য অ্যামাজন কিন্ডল ডিভাইসে বিক্রি করতে পারেন। ধরা যাক আপনি একটি উপন্যাস লিখেছেন এবং এটি বিক্রি করতে চান। আপনি যদি এটি এখানে আপলোড করেন এবং তারপরে এটি সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্লগগুলির মাধ্যমে অনলাইনে প্রচার করেন তবে আপনি নিজের বইয়ের অনুলিপি বিক্রি করতে পারবেন এবং প্রতিটি বিক্রয়ে ৭০ শতাংশ রিটার্ন উপার্জন করতে পারবেন।
Fotolia: ফটোলিয়া আপনাকে স্টক ফটোগ্রাফি ব্যবহারের জন্য নেওয়া ফটো বিক্রি করতে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও প্রকাশক কোনও সৈকতের ছবি সন্ধান করে এবং আপনি এই জাতীয় চিত্র আপলোড করেন তবে প্রকাশক সেই ছবিটি তার প্রকাশনাতে ব্যবহার করার অধিকার কিনতে ফটোলিয়া ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনি সেই অর্থের একটি অংশ পান। কোনও ফটোগ্রাফি শখের জন্য, আপনার সেরা ছবিগুলির জন্য কয়েক ডলার উপার্জনের এটি দুর্দান্ত উপায়।
Swagbucks: সোয়াগবাক্স সম্ভবত অনলাইন জরিপ সাইটগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় - এবং সবচেয়ে বৈধ। কোন গ্রাহক জরিপে অংশ নেওয়ার জন্য সোয়াগবাক্স আপনাকে অল্প পরিমাণে অর্থ প্রদান করে, কোন সংস্থাগুলি তখন কী ধরণের পণ্যগুলি তৈরি এবং বিক্রয় করতে পারে তা নির্ধারণের জন্য ব্যবহার করে। আপনি দিনে বেশ কয়েকটি সমীক্ষায় অংশ নিতে পারেন এবং অ্যামাজন, আইটিউনস এবং আরও অনেক কিছু থেকে উপহার কার্ডের জন্য সোয়াগবাক্সের উপার্জনটি নেয়া যেতে পারে।
এই সমস্ত ওয়েবসাইটই অনলাইনে কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য দুর্দান্ত সুযোগ দেয়। এটি সময়, অর্থ এবং প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে আপনি টেবিলে কী আনতে চান তার উপর নির্ভর করে।
No comments:
Post a Comment